Header Ads

Header ADS

বৈশ্বিক দূর্যোগের মধ্যে প্রাকৃতিক দূর্যোগ

শিলবৃষ্টির তান্ডবে ঘরবাড়ী ও কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার

এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।
 ধান থেকে বীজ ,বীজ থেকে চারা , চারা  থেকে গাছ , তারপর রোপন, কোপন, নিরানি  সার ,পানি, কীটনাশক সবকিছু শেষে কৃষকের গোলায় এখন পাকা ধান তোলার পালা। কৃষক যখন পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন ঠিক তখনি মাথার উপর থেকে নেমে আসে হঠাৎ বৈশাখী ঝড় ও শিলবৃষ্টি। শনিবার সন্ধায় ৬ঃ৫০মিনিটে  কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে একটানা বিশ মিনিট  মুষলধারে শিলাবৃষ্টি বর্ষিত হয়। এতে ঘরবাড়ি ,দোকান পাটের টিনের চালা, ফসলি মাঠ, ও গাছপালার ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে।
কোভিড-১৯ কারনে দেশে চলছে নিরভ দূর্ভিক্ষ। সরকার ও কৃষিস্প্রসারন অধিদপ্তরের পক্ষ বলা হচ্ছে  এক খন্ড মাটি যেন খালি না থাকে। এই মাটিতে ফলানো ফসলই চলমান দূর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রান পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
ইরি বুরো এদেশের কৃষকের একটি বড় স্বপ্ন। এই ফসলটা ঘরে তোলার জন্য কৃষক যখন তীর্থের কাক হয়ে অপেক্ষা করছিল ঠিক তখনই কালবৈশাখী ঝড় ও শিলবৃষ্টির তান্ডব লিলায় নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ফসলি মাঠ।
 মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এই ঝড় ও শিলবৃষ্টির কারনে ঢেউটিন ছিদ্র হয়ে ঘরে পানি পড়ছে। গাছপালা ভেঙ্গে বাড়ি-ঘর রাস্তার উপর পড়ে আছে। আচমকা শিলাবৃষ্টির পরে এই সব এলাকার বিঘার পর বিঘা জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। গাছ থেকে ঝড়ে গেছে ধান। এগুলোর বাহিরেও কোন কোন এলাকায় তিল, মোগডাল, ভোট্্রা ও পাটের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
দারোরা ইউনিয়ন থেকে শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন কাজিয়াতল সাতচূড়া, বড়াই মূড়া, কদম মূড়া ও লাটিয়ার বিলে নূন্যতম ৪ হাজার কানি ফসলের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার যাত্রাপুর , মোচাগড়া, নেয়ামতপুর. কামাল্লা. বাঙ্গরা, দৌলতপুর, ১৪নং নবীপুর পূর্ব, ১৫নং নবীপুর পশ্চিম, টনকী , চাপিতলা , রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিভিন্নগ্রামে কৃষি ও ঘরবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
 উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শাহেদ সরকার  জানান-গতকালের শিলাবৃষ্টির কারনে উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের টিনের চাল দোকাপাট ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন বলেন, আমাদের মাঠে এখন হারভেস্টার করার মত ফসল আছে ধান ও ভূট্টা । গতকালের শিলাবৃষ্টির কারনে মুরাদনগর উপজেলায় ৫% বুরো ধানের ক্ষতি হতে পারে। শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল ১-২% ক্ষতি হয়েছে। এদিকে উপসহকারী কৃষিকর্মতাদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেই জমির ৮০% ধান পাকা ধরেছে তা কেটে ফেলার জন্য।

No comments

Theme images by suprun. Powered by Blogger.