Header Ads

Header ADS

“একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয় আর অন্যদিকে অভাব”




এ যেন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ
দেশে করোনা সংক্রমণের রোগী  যত বাড়ছে লকডাউনের সময় সীমাও তত বেড়ে চলছে। লকডাউন আর করোনা ভাইরাস কবে দূর হবে সেই চিন্তায় অস্থির সাধারন জনগণ। একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয় অন্যদিকে অভাব কোনটাকে বেছে নিবে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে মানসিক চাপ, অস্থিরতা আর পারিবারিক কলহ্।   লক ডাউনের মেয়াদ যত বাড়ছে, ততই বেড়ে চলেছে খেটে খাওয়া সাধারণ  মানুষের  দুশ্চিন্তা। মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের রোগী পাওয়ার ঘোষণা দেন সরকার।  তারপর থেকে সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দেশ লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মার্চ, প্রথম ১০ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন । যা ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে  ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। অতঃপর পুনরায় তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয় । এখন নতুন করে আবারও ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত।
  ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করন আর লকডাউন অল্পসময়ে ফুরিয়ে যাবে মনে করে দেশের মানুষ তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু এর দিনক্ষণ যত বাড়ছে ততই কর্র্মহীন, গরীব-অসহায় মানুষের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ছে। বাড়ছে ক্ষুধার জ্বালা।  দুই চিন্তায়  প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম চলছে নিম্ন বৃত্ত আর মধ্যে বৃত্ত পরিবারের মাঝে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে দেশে গৃহবন্দী হয়ে পড়া কর্মহীন ও  হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে ঠিক কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কোন পরিবারকে একবার চাল দেওয়ার পর পুনরায় আবার ১৫ দিন পরে ত্রান দেওয়া হয়।  ৫-৭ কেজি চাল ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ দিন চলবে।  তাহলে একটি পরিবার ৪ দিনের খাবার শেষে বাকী ১১ দিন কি খেয়ে থাকবে এমন প্রশ্ন কর্মহীন গনমানুষের  মুখে মুখে।
মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা,  চিকিৎসা। এগুলোর মধ্যে কারো পরনে ছেঁড়া বস্ত্র এটা মানিয়ে নেওয়া যায় , বাসস্থান ভাঙাচূড়া তাতে সমস্যা নাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাতেও  সমস্যা নাই,  কিন্তু শিশু খাদ্য নাই,  পেটে ভাত নাই, অসুস্থ্য ব্যক্তির চিকিৎসা  নাই এতে সমস্যা আছে। তিনটি মৌলিক চাহিদা সময়ের বিবেচনায় বাদ দিয়ে চলা যাবে কিন্তু অন্য ও চিকিৎসা এই দুটিকে  জীবন থেকে আলাদা করার সুযোগ নাই। ইহা এক মহাসংকট।  কথায় আছে  মানুষ খাওয়ার জন্য বাঁচেনা, বাঁচার জন্যই খায়। প্রয়োজন কখনো অভাব বুঝেনা। বুঝেনা কোন অজুহাত। বের না হলে করোনা থেকে নিরাপদ, ঘরে থাকলে আর্থিক সংকট। দুই দিক থেকেই সমস্যা, যেই সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত কোন পথ বেরহয়নি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা আর অভাব  দুর্যোগের উপর দুর্যোগ।  “এ যেন জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ” প্রবাদ প্রবচনের এক জ্বলন্ত প্রতিফলন। ###
লেখক- সাংবাদিক এন এ মুরাদ
মোবাইলঃ ০১৬৭২-৪১৬৫২৩
 তারিখঃ ২৪-০৪-২০২০খ্রিঃ

No comments

Theme images by suprun. Powered by Blogger.