মুরাদনগরে লকডাউন উপেক্ষা করে দোকান পাট খোলা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক

এন এ মুরাদ,মুরাদনগর।।

প্রাণঘাতী এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচার মুখ্য কাজ হচ্ছে ঘরে থাকা। বিশেষত এক জরিপে জানাযায়, যদি ৮০ শতাংশ  লোক ঘরে থাকে তাহলে এই ভাইরাসের শিথিলতা আসতে  সময় লাগবে ৪ মাস।
 দেশে প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধমান, পরিস্থিতি এগুচ্ছে  খারাপে দিকে।
এরই মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা দেবিদ্বারকে জেলার করোনার হটস্পট ঘোষণা করেছেন । আর ২৭ এপ্রিল  মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নকে রেড সংকেত দেখিয়ে লকডাউন করা হয়।
এ ঘোষণার পর থেকে দেবিদ্বারের প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও  মুরাদনগর উপজেলায় দেখা যায় তার উল্টো চিত্র।
লকডাউনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় গত শনিবার থেকে মুরাদনগর সদর ও কোম্পানীগঞ্জ বাজারের প্রায় সকল দোকান খোলা রেখে ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কোম্পানীগঞ্জ বাজার খোলা থাকায় আর দেবিদ্বাবার লকডাউন হওয়ায় দেবিদ্বারের লোকজন ভিড়ছে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে।       দোকানপাট খোলা রাখার কারণে  পরিবহন চলাচল হয়ে গেছে স্বাভাবিক। এমন চিত্র দেখে  আতঙ্কিত সচেতন মহল। তারা বলছেন প্রশাসন যদি সাধারণ মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখতে পারে তাহলে আমাদের অবস্থা  সামনে দিকে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, সাধারণ মানুষ লকডাউন মানতে চাইছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কোন প্রকার শিথিল করা হয়নি।