Header Ads

Header ADS
"করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং পঙ্গপালের আক্রমণ
আমাদের কৃতকর্মের ফসল"

কিছু অতীত ইতিহাস থেকে এর সত্যতা তুলে ধরছি।
আল্লাহ তায়ালার বিধিনিষেধ ও  অবাধ্যতার কারণে যুগে যুগে বিভিন্ন  জাতির উপর মহামারী, দুর্যোগ-দুর্বিপাক  ও বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এর মধ্যে  ঝড়, প্লাবন, ভূকম্পন, ভূমিধস, সুনামি, খরা, জলোচ্ছ্বাস, শিলাবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,  অতিবৃষ্টি, সার্স - মার্স ভাইরাস, এইডস, দাবানল প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মূল কারন হচ্ছে সৃষ্ঠার হুকুমের বিপরীত কর্মকান্ডের ফসল। এই শতাব্দীর অন্যতম মহামারী এখন করোনা ভাইরাস।
**অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার শাস্তি স্বরূপ গত হয়েছে এইডস/এইচআইভি। ‘এইডস’ মানে নিশ্চিত মৃত্যু। আজ পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ‘এইডস’-এ আক্রান্ত হয়ে দুনিয়ায় তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৭০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এইডস/এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার। এর মধ্যে মারা গেছে এক হাজার ২২ জন। এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান কারণ হচ্ছে, অবৈধ যৌন মিলন ও সমকামিতা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং পঙ্গপালের আক্রমণের জাগতিক উৎপত্তি ও বিস্তৃতির বৈজ্ঞানিক কারণ যাই হোক, এটা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে এই জাতির উপর একটি অশ্বিনী সংকেত। অনৈতিক যৌনকর্ম, পাপাচার, ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরোধিতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও আল্লাহ তায়ালার বিধিনিষেধের অবাধ্যতার কারণে পৃথিবীতে গজব নাজিল হয়ে থাকে। অতীতে সীমালঙ্ঘন করার কারনে   আল্লাহ তায়ালা বহু জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। কারন আল্লাহ সীমালঙ্ঘন কারীকে পছন্দ করেন না।
""যার ফলে এবার এসেছে করোনা ভাইরাস'"
##যেমনটা হয়েছিল পাঁচ হাজার বছর আগে হজরত লুত (আ:)এর আমলে- তার উম্মতের  পাপাচারিতা এতটাই ছাড়িয়ে গিয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত নারীদের রেখে পুরুষ পুরষে  সমকামিতার মতো গর্হিত কর্মে মেতে উঠে। ঠিক তখনই তাদের জন্য  আল্লাহ ভূমিকম্প ও জলোচ্ছাসের মত গজব দেন। ঐ জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ের সাথে ভূমিকম্পের  আঘাতে তাদের পাঁচ লাখ অধ্যুষিত জনপদকে আসমানে তুলে এমন ভাবে আছাড়ে ফেলেছেন  এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে একটি মৃত নদী যা ইতিহাসে ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিতি । এই নদীতে রয়েছে বিপুল ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষুদ্রকায় ছত্রাক (Encyclopadia Encarta)।  অন্যান্য মহাসাগরের তুলনায় লবণাক্ততা বেশি হওয়ায় এখানে কোন মাছ বা প্রাণী বসবাস করতে পারেনা মরে যায়।
‌সাগরেটির   দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১.২৪০ ফুট। এটি হচ্ছে মনুষ্য গজবের একটি ইতিহাস।
আর একটি হলো আদজাতি
##হজরত নুহ (আ:) এর আমলে প্রাচীন আদ জাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা হজরত হুদ আ:কে নবী হিসেবে পাঠালেন। জর্দান থেকে হাজরামাউত ও ইয়েমেন পর্যন্ত ছিল তাদের অধিবাস। গৃহনির্মাণ ও স্থাপত্যশৈলীতে তাদের দক্ষতা ছিল অসাধারণ। কিন্তু তারা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অমান্য করে মূর্তিপূজা শুরু করে।
 ‘আদ জাতির অমার্জনীয় পাপের ফলে গজব স্বরূপ তিন বছর বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকে। ফলে ক্ষেতখামার, বাগান ও গাছপালা পানির অভাবে শুকিয়ে যায় এবং প্রচণ্ড খাদ্যাভাব দেখা দেয়। তারপরও তারা পাপাচার ত্যাগ করেনি। অবশেষে চূড়ান্ত শাস্তি নেমে আসে। ৭ রাত,৮ দিনব্যাপী অনবরত ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রপাতে বিধ্বস্ত হয়ে যায় জনপদ ও লোকালয়। মানুষ ও জীবজন্তু শূন্যে উত্থিত হয়ে সজোরে জমিনে পতিত হয়।
##তারপর  সামুদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা বিধ্বস্ত করে দেন অগ্নিবৃষ্টি দিয়ে। তারা ওজনে কম দিত। দুর্নীতি, ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাই ও খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করত।  পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা স্পষ্ট- ‘মানুষের কৃতকর্মের জন্য জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে তাদেরকে কোনো কোনো কর্মের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে’ (সূরা আর রুম : ৪১)।
এখনোও সময় আছে সঠিক পথে ফিরে আসার। চলুন আমরা বদলে যাই। সচেতন হই,  অন্যের নয়, নীজের সমালোচনা করি।  পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকি। অনৈতিক যৌনাচার ও অন্যের সম্পদ নষ্ট না করি। দেশকে ভালবাসি, দেশের মানুষকে ভালবাসি। সকলের সুখে হাসি, আবার সকলের দুঃখে কাঁদি। সকল প্রকার পাপ থেকে দূরে থেকে মহান মালিকের হুকুম পালন করি।
তাহলে এইডস, ডেঙ্গু, করোনা সহ সকল প্রকার মহামারী থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ ।
                                             লেখক- "এন এ মুরাদ "

No comments

Theme images by suprun. Powered by Blogger.