প্রযুক্তির অপব্যাবহারই মানব চরিত্র ধ্বংসের কারন
আজ প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে রকেটের গতিতে আর মানবীয় চরিত্র ও ভালবাসার পতন ঘটছে উল্কার গতিতে।
মঙ্গল গ্রহের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে নীজ স্বজনদের খবর নেই। বড় বড় অট্টালিকা গড়ে উঠেছে ঠিক কিন্তু সেখানে প্রশান্তি নেই। দামি খাট আছে ভাল ঘুম নেই। টেবিল ভর্তি খাবার আছে, খাওয়ার নির্দেশ নেই। পারিবারিক অশান্তি, হতাশা, আর আত্মহত্যা বেড়েছে ব্যাপক হারে কারন একটাই - বর্তমান পৃথিবীর শাসকেরা বস্তুগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর দিলেও মন ও আত্মার উন্নয়নের দিকে কোন নজর নেই। পাল্লা দিয়ে মানুষ মারার ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর হাতে যে পরিমান ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা দিয়ে সারাপৃথিবী ২৮ বার ধ্বংস করতে পারবে। ধ্বংস লিলায় মেতে উঠেছে মানবতা বিবর্জিত জাতি।
ঐ পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী অশান্তি বিরাজ করছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। সত্যিকারের ভালবাসা, আদর্শ , নৈতিকতা, নেই বললেই চলে। লোভ, হিংসা ক্রোধ এমন ভাবে বিরাজ করছে যা হিংস্র জানোয়ারকে হারমানায়। সব জায়গায় খুন, ধর্ষণের ছড়াছড়ি। সামন্য পরকিয়ার জেরে মমতা মায়ের হাতে সন্তান, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হচ্ছে। একটুকরো জায়গা,একটা অটোরিকশা,সামান্য কয়টা টাকা, একটা মেয়ে, কিংবা একটু ক্ষমতার জন্য মানুষ মানুষকে হত্যাকরতে কুন্ঠাবোধ করেনা। কারন একটাই প্রযুক্তির অপব্যাবহার মানুষকে যোগাযোগের দিক থেকে যতটা কাছে টেনেছে আত্মিক দিক থেকে তারচেয়ে বেশী দূরে ঠেলেছে।
প্রযুক্তির ছোয়ায় আমরা পাশ্চাত্যকে হাতের কাছে পেয়েছি। গ্রহণ করেছি তাদের আদর্শ। নারী স্বাধীনতা তাদের দেখে শিখেছি। এরপর নারীদের পাশ্চাত্যের ঢংঙ্গে ঘরের বাহিরে হাট বাজারে তুলেছি। এটাই কাল হয়েছে সংসারে। আজকে আমরা পাশ্চাত্যের গুরু আমেরিকাকে বলি নারী স্বাধীনতার দেশ অথচ সেখানে প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়।
আমেরিকাকে বলি সভ্যতার দেশ অথচ তাদের মধ্যে ৪৩% জারজ সন্তান। যারা জানেনা কে তার পিতা আর কে তার মাতা। আমাদের দেশেও এখন পথে ঘাটে, কাটুনে মোড়ানো পুকুরে, পাহাড়ের চিপা চাপায় কিংবা হাসপাতালের বেডে পরিচয়হীন নবজাত পাওয়া যায়। যাদের বড় হলে জারজ সন্তান বলা হয়। এর কারনও প্রযুক্তির আবিষ্কার একটি স্মার্ট ফোন ও নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা ।
প্রযুক্তিকে আমাদের আর্শীবাদ, প্রযুক্তি আছে থাকবে এর উন্নয়ন হবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যাবহার আমাদের চলার পথকে করেছে সহজ ও সুন্দর। চলুন আমরাও প্রযুক্তির মত দ্রুতগতিতে আমাদের চারিত্রিক গুনাবলির বিকাশ ঘটিয়ে সুন্দর একটি বসবাস যোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলি। আগামী প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেই,প্রযুক্তি আমাদের অভিশাপ নয়, এর সঠিক ব্যাবহার আর্শীবাদ।
লেখক- "এন এ মুরাদ "
মঙ্গল গ্রহের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে নীজ স্বজনদের খবর নেই। বড় বড় অট্টালিকা গড়ে উঠেছে ঠিক কিন্তু সেখানে প্রশান্তি নেই। দামি খাট আছে ভাল ঘুম নেই। টেবিল ভর্তি খাবার আছে, খাওয়ার নির্দেশ নেই। পারিবারিক অশান্তি, হতাশা, আর আত্মহত্যা বেড়েছে ব্যাপক হারে কারন একটাই - বর্তমান পৃথিবীর শাসকেরা বস্তুগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর দিলেও মন ও আত্মার উন্নয়নের দিকে কোন নজর নেই। পাল্লা দিয়ে মানুষ মারার ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর হাতে যে পরিমান ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা দিয়ে সারাপৃথিবী ২৮ বার ধ্বংস করতে পারবে। ধ্বংস লিলায় মেতে উঠেছে মানবতা বিবর্জিত জাতি।
ঐ পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী অশান্তি বিরাজ করছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। সত্যিকারের ভালবাসা, আদর্শ , নৈতিকতা, নেই বললেই চলে। লোভ, হিংসা ক্রোধ এমন ভাবে বিরাজ করছে যা হিংস্র জানোয়ারকে হারমানায়। সব জায়গায় খুন, ধর্ষণের ছড়াছড়ি। সামন্য পরকিয়ার জেরে মমতা মায়ের হাতে সন্তান, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হচ্ছে। একটুকরো জায়গা,একটা অটোরিকশা,সামান্য কয়টা টাকা, একটা মেয়ে, কিংবা একটু ক্ষমতার জন্য মানুষ মানুষকে হত্যাকরতে কুন্ঠাবোধ করেনা। কারন একটাই প্রযুক্তির অপব্যাবহার মানুষকে যোগাযোগের দিক থেকে যতটা কাছে টেনেছে আত্মিক দিক থেকে তারচেয়ে বেশী দূরে ঠেলেছে।
প্রযুক্তির ছোয়ায় আমরা পাশ্চাত্যকে হাতের কাছে পেয়েছি। গ্রহণ করেছি তাদের আদর্শ। নারী স্বাধীনতা তাদের দেখে শিখেছি। এরপর নারীদের পাশ্চাত্যের ঢংঙ্গে ঘরের বাহিরে হাট বাজারে তুলেছি। এটাই কাল হয়েছে সংসারে। আজকে আমরা পাশ্চাত্যের গুরু আমেরিকাকে বলি নারী স্বাধীনতার দেশ অথচ সেখানে প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়।
আমেরিকাকে বলি সভ্যতার দেশ অথচ তাদের মধ্যে ৪৩% জারজ সন্তান। যারা জানেনা কে তার পিতা আর কে তার মাতা। আমাদের দেশেও এখন পথে ঘাটে, কাটুনে মোড়ানো পুকুরে, পাহাড়ের চিপা চাপায় কিংবা হাসপাতালের বেডে পরিচয়হীন নবজাত পাওয়া যায়। যাদের বড় হলে জারজ সন্তান বলা হয়। এর কারনও প্রযুক্তির আবিষ্কার একটি স্মার্ট ফোন ও নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা ।
প্রযুক্তিকে আমাদের আর্শীবাদ, প্রযুক্তি আছে থাকবে এর উন্নয়ন হবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যাবহার আমাদের চলার পথকে করেছে সহজ ও সুন্দর। চলুন আমরাও প্রযুক্তির মত দ্রুতগতিতে আমাদের চারিত্রিক গুনাবলির বিকাশ ঘটিয়ে সুন্দর একটি বসবাস যোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলি। আগামী প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেই,প্রযুক্তি আমাদের অভিশাপ নয়, এর সঠিক ব্যাবহার আর্শীবাদ।
লেখক- "এন এ মুরাদ "

No comments