অনিশ্চিয়তার বেড়াজাল আর নিরাপত্তাহীন গণমাধ্যম
একটি স্বাধীন গনতন্ত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। সরকার ও জনগনের মধ্যে নিবিড় সেতুবন্ধন তৈরি করে গণমাধ্যম। দেশের উন্নয়নের অংশীদারিত্বের কথা বলতে গেলে আসবে গণমাধ্যম। উন্নয়ন ও গণমাধ্যম এ দুটি শব্দ একটি আরেকটির পরিপূরক। সরকারে উন্নয়নের বাস্তব চিত্র যেমনি ভাবে গণমাধ্যম ছাড়া জনগনের কাছে পৌছানো সম্ভবনা, ঠিক তেমনি জনগনের মনের ভাবনা গণমাধ্যম ছাড়া সরকারের কাছে পৌছায়না। আজ মিডিয়া বা গণমাধ্যমের কল্যানে পুরো দেশ একটি ভিলেজে পরিণত হয়েছে। চীন হতে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সরকার ৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রনে কাজ করে আসছে। এই কাজের সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারনা ও প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঢুকে পড়া বিদেশীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে গণমাধ্যম। সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেওয়া, অসহায় বঞ্চিতদের খাবারের তালিকা দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগীতা করার কাজটিও করে চলেছেন গণমাধ্যম।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হোমকোয়ারেন্টাইন বলতে কোন শব্দ নেই গণমাধ্যম কর্মীদের। পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরাঞ্জাম ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন করোনাভাইরাস রোগী সনাক্তকরন সংবাদ, মৃতদের দাফন কাফন,সামাজিক,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংবাদের পাশাপাশি খবরের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা খবর তুলে আনছেন গণমাধ্যম। দেশের ক্রান্তিময় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে কাউকে তেমন লক্ষ করা যায়নি। কোথায়ও এমন একটি সংবাদ ছাপা হয়নি যে,ওই উপজেলার মাননীয় সংসদ সদস্য প্রেসক্লাবের তালিকাভূক্ত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সামগ্রীসহ আর্থিক সহযোগীতা করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে দুই একজন সাংবাদিকই তাদের একমাত্র আর্শীবাদ পুষ্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর বাকিরা একটি চেয়ার এক বোতল পানি আর একপ্যাক খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের এই কঠিন মূহর্তে হাসপাতালে ডাক্তারদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে নিরাপত্তা সরাঞ্জাম দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যে কিছুই জুটেনি। কোথায়ও ব্যক্তি উদ্দ্যেগ থেকে কেউ কিছু পেয়ে থাকলেও বেশির ভাগই শূণ্য। নীজের কেনায় বিশ টাকার মাস্ক পড়েই সুপারম্যানের মত ঘুড়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সংস্কীর্ণতার কারনে আমাদের দেশে অনেক সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা জুলুম অত্যাচার মামলা হামলার স্বীকার হয়ে থাকেন। ফলে তাদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় নানাবিধ অনিশ্চয়তা ও প্রতিকুলতা। এতো সীমবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা আর সংস্কীর্ণতা থাকা সত্বেও সংবাদ কর্মীরা দেশের প্রতিটি উন্নয়ন, দুর্যোগ ও মহামারিতে নীজেকে উজাড় করে কাজ করছেন। ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন সরকারের প্রতিটি কাজে।
গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ মাদ্রাসা , মন্দির, চিকিৎসা, আশ্রয়নসহ সকল উন্নয়নের চিত্র সংবাদ পত্রের পাতায় উঠে আসে।
করোনা প্রভাবে দেশে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ । বাংলাদেশ সরকার কৃষি খাতসহ গরীব অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার ত্রান ও প্রনোদনা দিয়ে যাচ্ছেন। গনমাধ্যম কর্মীদের জন্য কিছুই বরাদ্ধ নাই। এদিকে মফস্বলে সাংবাদকর্মীদের বেতন নাই, ভাতা নাই, পেনশন নাই, দুঃসময়ে সহযোগীতা নাই, নাই বলতে কিছুই নাই। তুবুও তারা একটু সন্মান আর ভালবাসার জন্য এই পেশায় পড়ে আছেন। একজন সৎ ও বিবেকবান সংবাদকর্মী দেশ ও জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। আবার তাদেরকে বলা হয় “জাতির বিবেক- সমাজের দর্পণ”। একটি পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষের জীবন, পর্দার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অনিয়ম জাতির সামনে তুলে ধরে একটি শুদ্ধ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে যারা ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের জীবন-জীবিকার খবর কারো কাছে নেই। দিন শেষে ক্ষনিকের কিছু ভালবাসা আর কিছু সন্মান এটুকুই তাদের প্রাপ্তি। এভাবে এগিয়ে চলছে গণমাধ্যম কর্মীদের জীবন অনিশ্চিয়তার বেড়াজাল আর নীরাপত্তাহীন এক অজানা গন্তব্যে। # ##
লেখক সাংবাদিক- এন এ মুরাদ
মোবাইলঃ০১৬৭২-৪১৬৫২৩
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হোমকোয়ারেন্টাইন বলতে কোন শব্দ নেই গণমাধ্যম কর্মীদের। পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরাঞ্জাম ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন করোনাভাইরাস রোগী সনাক্তকরন সংবাদ, মৃতদের দাফন কাফন,সামাজিক,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংবাদের পাশাপাশি খবরের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা খবর তুলে আনছেন গণমাধ্যম। দেশের ক্রান্তিময় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে কাউকে তেমন লক্ষ করা যায়নি। কোথায়ও এমন একটি সংবাদ ছাপা হয়নি যে,ওই উপজেলার মাননীয় সংসদ সদস্য প্রেসক্লাবের তালিকাভূক্ত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সামগ্রীসহ আর্থিক সহযোগীতা করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে দুই একজন সাংবাদিকই তাদের একমাত্র আর্শীবাদ পুষ্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর বাকিরা একটি চেয়ার এক বোতল পানি আর একপ্যাক খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের এই কঠিন মূহর্তে হাসপাতালে ডাক্তারদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে নিরাপত্তা সরাঞ্জাম দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যে কিছুই জুটেনি। কোথায়ও ব্যক্তি উদ্দ্যেগ থেকে কেউ কিছু পেয়ে থাকলেও বেশির ভাগই শূণ্য। নীজের কেনায় বিশ টাকার মাস্ক পড়েই সুপারম্যানের মত ঘুড়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সংস্কীর্ণতার কারনে আমাদের দেশে অনেক সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা জুলুম অত্যাচার মামলা হামলার স্বীকার হয়ে থাকেন। ফলে তাদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় নানাবিধ অনিশ্চয়তা ও প্রতিকুলতা। এতো সীমবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা আর সংস্কীর্ণতা থাকা সত্বেও সংবাদ কর্মীরা দেশের প্রতিটি উন্নয়ন, দুর্যোগ ও মহামারিতে নীজেকে উজাড় করে কাজ করছেন। ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন সরকারের প্রতিটি কাজে।
গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ মাদ্রাসা , মন্দির, চিকিৎসা, আশ্রয়নসহ সকল উন্নয়নের চিত্র সংবাদ পত্রের পাতায় উঠে আসে।
করোনা প্রভাবে দেশে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ । বাংলাদেশ সরকার কৃষি খাতসহ গরীব অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার ত্রান ও প্রনোদনা দিয়ে যাচ্ছেন। গনমাধ্যম কর্মীদের জন্য কিছুই বরাদ্ধ নাই। এদিকে মফস্বলে সাংবাদকর্মীদের বেতন নাই, ভাতা নাই, পেনশন নাই, দুঃসময়ে সহযোগীতা নাই, নাই বলতে কিছুই নাই। তুবুও তারা একটু সন্মান আর ভালবাসার জন্য এই পেশায় পড়ে আছেন। একজন সৎ ও বিবেকবান সংবাদকর্মী দেশ ও জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। আবার তাদেরকে বলা হয় “জাতির বিবেক- সমাজের দর্পণ”। একটি পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষের জীবন, পর্দার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অনিয়ম জাতির সামনে তুলে ধরে একটি শুদ্ধ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে যারা ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের জীবন-জীবিকার খবর কারো কাছে নেই। দিন শেষে ক্ষনিকের কিছু ভালবাসা আর কিছু সন্মান এটুকুই তাদের প্রাপ্তি। এভাবে এগিয়ে চলছে গণমাধ্যম কর্মীদের জীবন অনিশ্চিয়তার বেড়াজাল আর নীরাপত্তাহীন এক অজানা গন্তব্যে। # ##
লেখক সাংবাদিক- এন এ মুরাদ
মোবাইলঃ০১৬৭২-৪১৬৫২৩

Good
ReplyDelete