মুরাদনগরের আকাশে সবচেয়ে বড় ঘুড়ি
এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।।
শখের কাতারে থাকা কাজগুলোর মাঝে ঘুড়ি উড়ানোটাও কারো কারো শখ, করোনার প্রভাবে মানুষ অনেকটাই কর্মশূন্য। তাই বিকাল হলে ঘুড়ি নিয়ে ছুটে যান গায়ের খোলা মাঠ কিংবা ছাদের উপর । ঝিরিঝিরি বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন রঙ্গে বেরঙ্গের ঘুড়ি। আকাশ পানে তাকালে শুধু ঘুড়ি আর ঘুড়ি। এযেন ঘুড়ির মেলা। এমন ঘুড়ি উড়ানো চিত্র এখন মুরাদনগরের আকাশে।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, নানান বয়সের মানুষের হাতে ঘুড়ি। মার্কেটের বড় ছাদ, খোলা মাঠ, আর পথ প্রান্তর থেকে উড়ানো হয় এই সকল ঘুড়ি। মুক্ত আকাশে ঘুড়ি গুলো উড়ে উন্মুক্ত পাখির মত। কোন কোন ঘুড়ি দূর থেকে দেখলে মনে হয় সত্যিকারের কাক, চিল, বা সাপ। ঘুড়ির নামগুলোও অসাধারণ,চড়কি ঘুড়ি, ঢাউস ঘুড়ি, বিমান ঘুড়ি, হেলিকপ্টার ঘুড়ি, সাইকেল ঘুড়ি, ছাতা ঘুড়ি, ঈগল ঘুড়ি, স্টার ঘুড়ি, তেলেংগা, চিলু, লন্ঠন, ডাম, সাপ, ইত্যাদি। যদিও আঞ্চলিক ভাষায় নামগুলো আরো বিচিত্র।
জানাযায়, একসময় মুরাদনগরের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হতো ঘুড়ি উৎসব। এইসব উৎসব দেখতে ভীড় জমাতো আশেপাশের উপজেলার মানুষ। এখন আর ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব চোখে পড়েনা। এবারই মানুষ খারাপ সময়টাকে আনন্দে পরিনত করতে ঘুড়ি হাতে ফিরে এসেছে শৈশবের স্মৃতি নিয়ে। ঘুড়ি শুধু দিনে নয় রাতেও উড়ায়। রাতের বেলা কোনো কোনো ঘুড়ির সঙ্গে ব্যাটারি দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ২০-৩০ টাকার সাধারণ ঘুড়ি থেকে দুই হাজার টাকা দামের ঘুড়ি পর্যন্ত উড়ানো হয়।###

No comments