মুরাদনগরে সাংবাদিক শরীফকে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যান গ্রেফতার
এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।।
সংবাদ প্রকাশ করার জের ধরে মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল সংবাদদাতা শরিফুল আলম চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকে দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুরী ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে ১৯নং দারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান (বিএসসি)র লোকজন। তাকে বাচাতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পিতা ও বৃদ্ধ মা গুরতর আহত হয়। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তৎক্ষনিক মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনার মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান' কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বাবা আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সংবাদ প্রকাশ করে আমার ছেলে। উক্ত ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয় চেয়ারম্যান ও তার দলবল। ঘটনার আগের দিনও সাংবাদিক শরীফকে মারার হুমকি দেন বলে বিষয়টি ফেইসবুকেও প্রকাশ করেন শরিফ।
নিজেকে অনিরাপদ ভেবে একমাস বাড়ির বাহিরে থেকে সে গত সপ্তাহে বাড়ি আসে। শরিফ বাড়িতে আছে এ খবর পেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে বের করে বাড়ির ওঠানে আনেন। তখন দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুরী ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার দুই হাত পা ভেঙ্গে দেয়। দা দিয়ে তার মাথায় মারাত্বক আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রামদা দিয়ে আমার ডান হাতে কুপ দেন এবং রড দিয়ে পিটায়। তার মায়ের বাম ভেঙ্গে দেয়। আমারা শোর চিৎকারে করলে চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
পরে তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমরা মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
মুরাদনগর থানার ওসি এ.কে.এম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনায় শরীফে বাবা আব্দুল মতিন চৌধুরী বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় চেয়ারম্যান শাহাজাহনকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের আটক অভিযান অব্যাহত আছে।
No comments